Arjun Reddy Tamli Action Movie (2017)

সদ্য অনলাইনে রিলিজ তেলেগু ব্লকবাস্টার সিনেমা "আর্জুন রেড্ডি" কে ঘিরে সিনে লাভারস বিশেষ সাউথ সিনে-লাভারস দের আগ্রহ টা সবচেয়ে তুঙ্গে ছিল। কেননা এই সিনেমা কে তেলেগু ইন্ড্রাস্টি নব-জাগরণ কিংবা গেম চেঞ্জার নানান উপাধি তে ভূষিত করা হচ্ছে। এই মুভির আইএমডিবি রেটিং ও হতবাক করার মত ৯+ রেটিং তাও আবার ৩ হাজারের ও অধিক ভোট পেয়ে। তার উপর মূল অভিনেতা খুব বেশি পরিচিত মুখ নয়। বিজয় দেবারকোন্দা কেবল "Pelli Choopulu" সিনেমার মধ্য দিয়ে অনেকটা পরিচিত হতে চলেছে দর্শকের মাঝে। তাহলে কি আছে সিনেমায়!!! যা নিয়ে এতটা মাতামাতি??? আসুন কিছুটা না হয় সিনেমার নির্মাণজনিত গল্প ও তার ভেতরের গল্প নাহয় কিছুটা জেনে নেই।

সিনেমাটির স্ক্রিপ্ট প্রথমে আল্লু আর্জুন এবং পরে সারোয়ানান্দের কাছে গেলেও তাদের শিডিউল জনিত সমস্যার কারণে পরিচালকের ৩য় চয়েজ বিজয় দেবারাকোন্দা মূল অভিনেতা হিসেবে কাস্ট হয়।

বিজয় দেবারাকোন্দা ক্যারেক্টারে পুরোপুরিভাবে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য দীর্ঘ ৪ মাসের ও বেশি সময় দেন সিনেমার কাজে। যার ফল হিসেবে সমালোচক ও দর্শকের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি। এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা চরিত্র হিসেবে আজীবন বিবেচিত হবে।

সিনেমার গল্পে প্রবেশের আগে বলে রাখি, এই সিনেমা টার্গেট করা হয়েছে Young Generation কি ঘিরে। যদিও উন্মুক্ত ভাবে প্রকাশ করে নি, তবে গালিগালাজ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ১৮+ কন্টেন্ট নির্ভর তাই যাদের এসবে চুলকানি আছে, তারা একশ হাত দূরে থাকুন এই সিনেমা থেকে।

আর্জুন রেড্ডি পরিচয়ে সার্জন। কিন্তু সার্জন হলেও তার বাহ্যিক কর্মকান্ডে ড্রাগ এডিক্টের চেয়েও নিম্নমানের। কারণ তার একাকীত্ব জীবনে দিনরাতে সঙ্গী মদ। বাসায় খাবারের মত সাজানো থাকে মদের বোতল। বন্ধুদের হাজার বার বারণের পর ও সে দিন দিন নিজেকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে নেশার কালগ্রাসে। এসব কেন করছে সে, কিসের জন্য? প্রীতি নামের এক তরুণীর জন্য। প্রীতি নামের এই তরুণীর ভালোবেসে না পেয়ে সে নিজেকে বানিয়েছে দেবদাস। এত উচ্ছৃঙ্খল জীবনের ভিড়েও সে তার কর্মগুণে দূর্দান্ত নামী ডাক্তার।

আর্জুনের কাছে মেয়ে কেবল ভোগের বিষয়। প্রেম জিনিসে মায়া উঠে গেছে। গল্পের গভীরতা ঠিক কতটা গাঢ় তার আলোকপাত সিনেমার ফ্ল্যাশব্যাকে জানা যায়।

আর্জুন রেড্ডি মেডিকেল কলেজের সবচেয়ে বখাটে বদমেজাজি ছাত্র। কিন্তু Manner না থাকলেও অসম্ভব মেধাবী ছাত্র সে। এজন্য তার পরীক্ষার রেজাল্ট কখনোই খারাপ হয় না। বারবার কলেজ থেকে সাপ্তাহিক বা মাসিক বহিষ্কার হলেও তাকে কলেজ থেকে বের করতে পারে না স্বয়ং মেডিকেল কলেজের ডিন ও। আর্জুন নিজেই রাগ করে একবার বেড়িয়ে যেতে চাইলেও সদ্য তার কলেজে ভর্তি নেওয়া শিক্ষার্থী প্রীতির প্রেমে পড়ে যায়। কলেজ থেকে যাওয়ার চিন্তা ও বাতিল হয়ে যায়। আর্জুন পুরো কলেজে জানিয়ে দেয়, প্রীতির দিকে কেউ যেন নজর না দেয়, কেননা প্রীতি কেবল আর্জুনের। আর্জুনের এমন স্বভাব কে অনেকে পাগলামো ভাবলেও পরে ঠিক ই আঁচ করতে পারে আর্জুন ঠিক কতটা ভালোবাসে প্রীতি কে। নিশ্চুপ স্বভাবের প্রীতিও আর্জুনের এই পাগলামোর প্রেমে পড়ে যায়।

কিন্তু পরিস্থিতি বিপাকে পড়ে যায়, আর্জুনের উগ্র বদমেজাজিপনায়। একদিন আর্জুনের অগোচরে বিয়ে হয়ে যায় প্রীতির। আর্জুনের উগ্র মস্তিষ্ক আরো বিকট আকারে তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। আর্জুন তার জীবনে যত মেয়ের সাথে মেশে তাদের আর প্রেমের মায়াডোরে বাঁধতে চায় না। সব ই তার ভোগপণ্য হিসেবে মনোনয়ন করে।

আর্জুনের অন্তিম পরিণতি কি হবে??? মর্ডান দেবদাস খ্যাত আর্জুন কি পারবে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ করতে??? নাকি নেশার কালগ্রাসে সেও ইতিহাসের দেবদাসের মত হারিয়ে যাবে অজানায়???

গল্পটা খুব বেশি ইউনিক ধাঁচের মনে নাহলেও আমাদের Young Generation এর বাস্তবিক প্রতিচ্ছবি সিনেমার প্রত্যেক পরতে পরতে বিদ্যমান ছিল। গল্পটি আমার বা আপনার মত কারো জীবনের প্রতিনিধিত্ব করছিলো। আর্জুনের মত আমরাও আমাদের স্বভাবজনিত কারণে এভাবেই জীবনের স্বর্ণরূপ দামী সময়গুলো হারাচ্ছি এমনকি হারাচ্ছি স্বজন দের। উত্তোরণের উপলব্ধি হতে হতে আমরা ও সমাজ থেকে এভাবেই বিলীন হয়ে যাই।

সিনেমায় ব্যবহৃত গালিগালাজ গুলো একেবারে আপন-আপন লাগবে কারণ বেশিরভাগ গালির মধ্যে আমাদের দেশে বহুল পরিচিত গালি টিও শোনা যাবে বাংলা ভাষায়। এছাড়া আরো উগ্রপন্থী গালিগালাজ ও আছে। কোন প্রকারের বিপ বিপ রাখে নি গালিগালাজের ক্ষেত্রে। সিনেমার প্রিন্ট আনকাট বলে আপনি অনেক দৃশ্য ওপেন ভাবে দেখতে পাবেন।

মাস্টওয়াচ মাস্টারপিস তেলেগু সিনেমা।

গল্পটি সাথে প্রধান চরিত্রে অভিনীত বিজয় দেবারাকোন্দার অভিনয় আজীবন মনে গেঁথে যাবে হলফ করে বলতে পারি।

╚●► মুভি ইনফো◄●╝

●►জনরা:- ব্ল্যাক কমেডি
●►পরিচালক:- সন্দীপ রেড্ডি বাঙ্গা
●►মিউজিক:-রাধান
●►অভিনয়:-বিজয় দেবারাকোন্ডা, শালিনী পান্ডে, রাহুল রামাকৃষনা, কল্যাণ, আদিতি, আনিশা, জিয়া শার্মা, কামাল কামারাজু ইত্যাদি।

●►আইএমডিবি রেটিং:- ৯/১০

●►রানিং টাইম:- ৩ ঘন্টা ২ মিনিট

(বিশেষ দ্রষ্টব্য যারা ৩ ঘন্টা ১ মিনিটের রানিং টাইমের প্রিন্ট ডাউনলোড করছেন, তাদের সিনক করে দেখতে হবে)

●►অনুবাদক:- "(সাইফুদ্দিন শাকিল)"

বাংলা সাবটাইটেল লিনক:-  ক্লিক করুন

আমার ফেইসবুক পেজে লাইক দিন নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য । ক্লিক করুন
কোন কিছু জিজ্ঞাসা করার থাকলে কমেন্ট করুন অথবা গ্রুপ এ পোস্ট করুন । এখানে ক্লিক করুন।

টিপস এবং ট্রিক্স এর জন্য চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন । সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন ।

মুভি ডাউনলোড লিঙ্ক - ক্লিক করুন ।

একটা লাইক আর আপনাদের মতামত এর জন্য একটা কমেন্ট একান্ত কাম্য । ভাল থাকবেন সবাই ।